Friday, September 30, 2011

সজীব আহমেদ ওয়াজেদ যেভাবে পাল্টে দিচ্ছেন বাংলাদেশ



সজীব আহমেদ ওয়াজেদ যেভাবে পাল্টে দিচ্ছেন বাংলাদেশ
মোঃ হাসিবুল হাসান হাবীব
সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয় তার পরিচয় নিয়ে বলার কিছু নাই । আমি শুধু কিছু ব্যাপার ব্লগারদের সাথে শেয়ার করতে চাই তা হল বাংলাদেশের প্রতি তার অবদান । কাদার মধ্যে থেকেও গায়ে কাদা না লাগিয়ে পথ চলেছেন তিনি । তার মা তাকে রাজনীতি থেকে বহুদূরে রেখে দেশের জন্য কাজ করার জন্যে তাকে তৈরী করেছেন । সবসময় বলেছেন তোমরা সবসময় মনে রাখবা তোমরা কার নাতী । ডিজিটাল বাংলাদেশ জয়ের একটা স্বপ্নের নাম । সেই স্বপ্নকে পুরনের জন্যে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন জয় ।
জয় বলেন  কারও দুর্নীতি থেকে অভিজ্ঞতা অর্জনের প্রয়োজন আমার নেই। নিজেকে সব ধরনের অপবাদমুক্ত রাখতেই আমি দেশের সকল কার্যক্রম থেকে দূরে থাকি।
ডিজিটাল বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য কর্মীদের নিয়ে ধারাবাহিক লেখার ইচছা ছিল । সেই ইচ্ছা থেকে জয় কে দিয়ে এই লেখা শুরু করলাম । ব্যক ক্যাল্কুলেশন অব ডিজিটাল বাংলাদেশ । এইটা পার্ট ওয়ান । অনেক জায়গা থেকে অনেক ইনফো নিছি কিন্তু এইটা তো ব্লগ রিসার্চ পেপার না তাই আর অত ফাইন টিউনিং এ যাই নাই ।
ব্যঙ্গালরের সেন্ট জোসেফ থেকে কম্পিঊটার সায়েন্সে গ্র্যাজুয়েশন করেন ম্যাথ এবং ফিজক্স সহ । তার পর টেক্সাস ইউনিভার্সিটি । তার পর হার্ভাড ইনোভেশন ইন গভর্নেন্স ।
জয় কাজ করে যাচ্ছেন মুলত আডভাইস করে ।
শেখ হাসিনাকে আডভাইস করে ১৯৯৬ সাল থেকেই । জয়ই বাংলাদেশে কম্পিঊটারের ব্যাবসায় ট্যাক্স ফ্রি করার প্রস্তাব দেন ১৯৯৬ এই । আজও আমরা সেই সুবিধা ভোগ করে যাচ্ছি ।
কমিউনিকেশন এবংকানেক্টিভিটির মাধ্যমে দেশেকে এগিয়ে নেওয়ার জন্যে সজীব প্রথম প্রস্তাব করেছিলেন বাংলাদেশ কে সাবমেরিন কেবলের সাথে যুক্ত করার এবং ১৯৯৬ এ আওয়ামিলীগ ক্ষমতায় আসার পরে সেই এই কাজটি করার প্রস্তাব দেন এবং সরকার তা করেও ।
কিন্তু গত পৌনে তিন বছরে জয় যুগান্তকারী ভুমিকা পালন করেন ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে । বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রাম যৌথভাবে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটারে ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলার আয়োজন করে। মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে জয় বলেন ,
তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিভিন্ন উদ্ভাবনের ফলে মানুষের জীবনমানের পরিবর্তন হবে। আর এটাই হচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্য । সরকারি-বেসরকারিভাবে বিভিন্ন সিষ্টেম তৈরির ফলে দেশের মানুষ লাভবান হবে। জীবন ধারার পরিবর্তন হবে। দেশে টেন্ডারবাজি থাকবে না, এটাই ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের জন্য সরকার সব রকমের সাহায্য-সহায়তা করবে ।
বঙ্গবন্ধু পরিবার দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেয় না। আমাদের শিক্ষা আছে, মেধা আছে। মেধা খাটিয়েই আমরা অঢেল অর্থ উপার্জন করতে পারি। তাই দেশের সম্পদ চুরি করার প্রয়োজন নেই।
সজীব আহমেদ চান যে তথ্যপ্রযুক্তির সেবা গ্রামে-গঞ্জে ছড়িয়ে যাক । গ্রামের মানুষের হাতের মুঠোয় তথ্যপ্রযুক্তির সেবা পৌছে যাক । এখন অনেক কিছুই কি হচ্ছেনা যা ৩ বছর আগেও মানুষ ভাবেনি ??
আডমিশন ফরম কালেক্ট থেকে শুরু করে সরকারের সমস্ত ফর্ম এখন অনলাইনে আছে । এবং তা অনলাইনে পূরন করে জমা দেবার ও সুবিধা আছে । মোবাইল ইন্টারনেট কি না করেছে , মোবাইল ব্যাঙ্কিং পর্যন্ত এখন বাংলাদেশে হচ্ছে ।টেন্ডার জমা দেয়া , স্বাস্থ্য সেবা , ক্রিষি সেবা , মোবাইলের মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট ,এটিএম মেশিন ,কল সেন্টার এ সবের মূলেই রয়েছে একটা স্বপ্ন এবং তার পেছনে নিঃস্বার্থ এবং নিরলস পরিশ্রম । সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয়ের ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন । বাংলাদেশে এখন একটা আইটি পার্ক আছে ।
সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয়ের আডভাইসে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ । শুধু মাত্র কলসেন্টারে এখন ৪০০০ এর বেশী ছেলে মেয়েরা কাজ করছে । বিদ্যুৎ ঘাটতি আরো কমে এলেই বাংলাদেশে গার্মেন্টস শিল্পের থেকে সম্ভাবনা নিয়ে আত্মপ্রকাশ করবে কলসেন্টার খাতটি । এইবারই দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মত ৫২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে । ঢাকা সহ সারা দেশের কনষ্ট্রাকশনের মাধ্যমে কানেক্টিভিটি এনশিঊর করার জন্যেও জয় কাজ করে যাচ্ছেন ।
শিশু স্বাস্থ্য ও মৃত্যুহার কমিয়ে আনার সাফল্যে গত বছর জাতিসংঘে মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট পুরস্কার গ্রহনের কথা উল্লেখ করে বলেন
আমরা মনে করি শিশুর সুস্বাস্থ্যের জন্য মায়ের সুস্বাস্থ ও যত্ন দরকার । এ জন্যে দেশের ১১ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিককে ডিজিটাল স্বাস্থ্য সেবার আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে । এটি অত্যান্ত সৌভাগ্যের বিষয় যে আমরা আমাদের বন্ধুদের কাছ থেকে আমাদের তথ্যপ্রযুক্তির কাজের স্বীক্রিতী পেয়েছি । এই স্বীক্বিতী আমাদের ঈপ্সিত লক্ষ অর্জনের দিকে এগিয়ে যেতে অনুপ্রেরনা যোগাবে ।
এইসব আওয়ার্ড সজীব আহমেদ ওয়াজেদের কারনেই সম্ভব হয়েছে ।
জয় বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ব্যাপারে আমি আমার মাকে বুদ্ধি পরামর্শ দেই। আমি বিদেশে বসবাস করি। তাই এসব কাজ আমার পক্ষে করা সম্ভব নয়। সরকারের সঙ্গে যারা আছেন, তারা এসব কাজ বাস্তবায়ন করেন।
১৯শে সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনাকে বিশ্ব মহিলা ও শিশু স্বাস্থ্য উন্নয়নে অবদান রাখার জন্যে সাউথ সাউথ পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে । জাতিসংঘ ইকনমিক কমিশন ফর আফ্রিকা ,আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন ও সাউথ নিউজ যৌথভাবে আয়োজন করে পুরস্কার দেয় এবং এর প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল: ডিজিটাল হেলথ ফর ডিজিটাল ডেভেলপমেন্ট
আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের সেক্রেটারী জেনারেল ডঃ হামদুন টোরে নিউইয়র্কের ওয়ালডর্ফ এষ্টোরিয়া হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনার হাতে এই পুরস্কার তুলে দেন । পুরুস্কার গ্রহন করে শেখ হাসিনা বলেন — “এটি বংলাদেশের জনগণ ও সরকারের কঠোর পরিশ্রমের স্বীক্রিতি । বাংলাদেশ স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যাবহার করেছে । মোবাইল ফোনে ক্ষুদে বার্তার মাধ্যমে ম্যালেরিয়া ও যক্ষারোগের চিকিতসা দেওয়া হচ্ছে ।
সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন
ডিজিটাল বংলাদেশের পরিকল্পনা দ্রুত গতিতে বাস্তবায়িত হচ্ছে । যে গতিতে উন্নয়ন ঘটছে তা কেঊ কল্পনাও করতে পারেননি । এর সুফল হিসেবে সাউথ সাউথ এওয়ার্ড মিলেছে । বর্তমান আওয়ামিলীগ সরকার ইতিমধ্যে বিদ্যুৎ গ্রেডে ২২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যোগ করেছে ,যা ইতিহাসে প্রথম । বাংলাদেশে প্রথমবারের মত বিদ্যুৎ উতপাদন ৫২০০ মেগাওয়াট ছাড়িয়ে গেছে । দেশের বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানে সরকার সারা দেশে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে সর্বোচ্চ অগ্রধিকার দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে । ২৬ টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ দেওয়া শুরু করেছে । আরো ৩৪ টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের কাজ চলছে । এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো আগামি বছরের মধ্যেই চালু হবে । ২০১২ সালে বিদ্যুৎ সেক্টর দেশের চাহিদার চেয়ে বিদ্যুৎ উদ্ব্বত্ব বিদ্যুৎ উতপাদনে সক্ষম হবে ।
দেশে এখন রয়েছে যানজট , তবে বর্তমান সরকার যানজট নিরসনে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করে চলছে । ইতিমধ্যেই ঢাকা শহরসহ সারাদেশে ব্রিজ ,ওভারপাস ,বাইপাস ,ঊড়ালসেতু ,হাইওয়ে সম্প্রসারনের কাজ যেভাবে শুরু করেছে সরকার, যানজট নিরসনে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করতে পারলে যানজট সমস্যার দ্রুত নিষ্পন্ন সম্ভব ।
অত্যন্ত ম্যাচ্যুউর বক্তব্য । সে এখন পুরো তৈরী বাংলাদেশকে নেত্রিত্ব দিতে । শুধু ডেভেলপমেন্ট এক্টিভিজ ছারাও পলিটিক্যালি সে এখন অনেক ম্যাচিওর । এই তো সেদিন ছাত্রলীগের ২৭তম কাউন্সিল অধিবেশনে সংগঠনের নেতা-কর্মীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন:
ছাত্রলীগ এগিয়ে গেলেই দেশ এগিয়ে যাবে। ছাত্রলীগ হচ্ছে জাতির ভবিষ্যৎ। ২০০৮ সালের নির্বাচনে জনগণের ভোট নিয়ে ক্ষমতায় এসেছি বলেই আমাদের সুযোগ হয়েছে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নসহ ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার।
তিনি আরো বলেন -
আমি এসেছি আপনাদের শুভেচ্ছা জানাতে। সারাদেশ থেকে যে ডেলিগেট ভাইরা এসেছেন তাদেরকে ভালবাসা জানাতে। অতীতে ছাত্র লীগের নেতা-কর্মীরা দেশকে অনেক কিছু দিয়েছেন। দেশের মানুষও এই সংগঠন থেকে অনেক কিছু প্রত্যাশা করে।
তার হার্ভাড গ্র্যাজুয়েশন শেষে সনদ বিতরন অনুষ্ঠানে তিনি বলেন
আমার মার স্বপ্ন ছিল হার্ভার্ড থেকে আমি গ্রাজুয়েশন করি। তাঁর এই স্বপ্ন পূরনে সফল হতে পেরে ধন্য মনে করছি। এছাড়াও আরো অনেক কিছুই করার আছে। তার সবটাই চেষ্টা করবো পূরন করতে।
গনতান্ত্রিক বাংলাদেশে সুখের অনুভুতি প্রতিটি মানুষকে স্পর্শ করুক। সুন্দর ভবিস্যত নির্মানে ভোরের সূর্য কিরণে অবগাহিত হোক বাংলাদেশ। ধুয়েমুছে সাফ হোক অন্যায় অসত্য আর মিথ্যাচার। প্রতিষ্ঠিত হোক গনতান্ত্রিক বাংলাদেশ। এই সময়ে এটাই আমার প্রত্যাশা।
ধন্যবাদ জানাই জয় ভাইকে । তার নিরলস নিস্বার্থ কাজ এগিয়ে যাক , এগিয়ে যাক বাংলাদেশ । এমন অনেক কিছুই আরো এদেশের মানুষ পাক , যা আগে কেউ কখন ভাবেও নি । আমার বাংলাদেশ হয়ে উঠুক সোনার বাংলাদেশ ।
জয় বাংলা ।

No comments:

Post a Comment

thanks for your valuable and important message. keep in touch will reply as soon as possible.
regards
mukthi